চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হলেও ত্রুটিমুক্ত ও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাবে টানেলের সুফল পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। টানেল চালু হলে নগরীর উত্তর প্রান্তের প্রবেশমুখে পাঁচটি সড়ক মিলিত হওয়ায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টির শঙ্কা করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তবে একমত নন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলের নির্মাণকাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেল খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। পতেঙ্গা প্রান্তে শহরমুখী রয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। এতে বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি ও বন্দরের ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কারণে টানেলের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে হতে পারে যানজট।

আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় সড়ক, এয়ারপোর্ট সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেল সড়কে গিয়ে প্রবেশপথ। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, সিএইএফএল, পারকি সমুদ্রসৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এই সড়কগুলো দিয়ে টানেলমুখী যানবাহনের চাপ থেকে যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা যোগাযোগ বিশেষজ্ঞের। ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনই যদি পরিকল্পনা না করা হয় তাহলে চালু হলে কেউ ট্রাফিক জ্যাম ঠেকাতে পারবে না।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেল চালুর পর যানজট নিরসনে বন্দরকেন্দ্রিক ভারী যানবাহন, ফিডার রোড সিমেন্ট ক্রসিং দিয়ে বের করে দেয়া হবে। অবশ্য বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালকের দাবি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত কোন যানজট সমস্যা হবে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, টানেলের জন্য যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছিল সে অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মূল দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

 

 

কলমকথা/ বিথী